আলোকিত রিপোর্ট : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় আবদুল মালেক (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বৃহষ্পতিবার ভোর আনুমানিক ৪টায় ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে অভিযুক্ত বাহার(২৬)কে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় (২৬এপ্রিল) উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের উনকুট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মালেক উনকোট গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে মাদক সেবনের জন্য একই গ্রামের প্রবাসী কবির আহম্মেদের ছেলে মাদকাসক্ত বাহার নিহত আবদুল মালেকের দোকানের পিছনে খালি জায়গায় প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় আব্দুল মালেক তাহার দোকানের পিছনে মাদক সেবনে বাঁধা দিলে দু’জনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। বুধবার রাত সাড়ে নয়টার আব্দুল মালেক দোকান বন্ধ করার সময় ঘাতক বাহার ধারালো ছুরি নিয়ে হামলা করে। এসময় আব্দুল মালেকের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করে ঘাতক বাহার। উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে আবদুল মালেক বাঁচার জন্য শোর চিৎকার করলে ঘাতক বাহার পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে বাজারের আসে পাশে থাকা লোকজন এসে আবদুল মালেককে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে ব্যবসায়ী মালেকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মালেকের স্ত্রী ও শিশু কন্যাদের চিৎকারে আকাশ বাতাশ ভারী হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল হোসাইল অপু জানান, ঘাতক বাহারকে কিছুদিন আগে মাদক সেবনে বাধা দেন নিহত আবদুল মালেক। বুধবার দোকানে বন্ধ করার সময় এলাকার চিহ্নিত মাদকাসক্ত বাহার সাথে থাকা ছুড়ি দিয়ে আকস্মিকভাবে ছুড়িকাঘাত করে ব্যবসায়ী আব্দুল মালেককে হত্যা করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ববিউল হোসেন জানান, বুধবার রাতে আবদুল মালেক নামে এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ছুড়িকাঘাতে গভীর ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, হত্যার ঘটনায় রাতেই ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে ঘাতক বাহারকে আটক করেছে পুলিশ। হাসপাতাল থেকে রাতে লাশটি উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।