* ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার সঞ্জয় আটক!
স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিউ পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে সঞ্জয় চন্দ্র রায় নামে এক ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে শনাক্ত করে তিন মাসের সাজা প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এর আগে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটিতে একাধিক ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার বসিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদানের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযানে অংশ নেয়া উপজেলা সেনেটারী ইন্সেপেক্টর মাহতাব উদ্দিন এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ আল রায়হান পাটোয়ারী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তমালিকা পালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিমসহ গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার গুনবতী বাজারের মক্কা টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত নিউ পপুলার হাসপাতালে অভিযানে যাই। নামের মিল থাকায় প্রতারক সঞ্জয় এমিবিবিএস রেজিঃ নং-৬০৬৭৫ তার নামের পাশে ব্যবহার করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। তাহার প্রদানকৃত রেজিঃ নাম্বার চেক করে দেখতে পাই উক্ত রেজিঃ নাম্বারটি সঞ্জয় কান্তি নাথ নামের আরেক সিনিয়র এক চিকিৎসকের। প্রতারক সঞ্জয় একই এলাকা চট্রগ্রামের সন্দিপ উপজেলার প্রখ্যাত চিকিৎসক সঞ্জয় কান্তি নাথের রেজিঃ নাম্বার এবং একই ঠিকানা ব্যবহার করে নিউ পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে বসে অপচিকিৎসা চালিয়ে আসছে। অভিযানে উপস্থিত থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা জানান, গ্রামের সহজ সরল প্রকৃতির মানুষকে ২০ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া ডাক্তার দিয়ে প্রেসক্রিপশান বানিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে আসছে তারা।
সরেজমিনে উপস্থিত থাকা অনেক রোগী জানান, চলতি বছরের ফেব্রæয়ারী থেকে প্রতারক সঞ্জয় রোগী দেখছেন। শুরুতে পরামর্শ ফি ৫০০ টাকা হলেও সম্প্রতি ২০ টাকার টিকেটে মাইকিং করে প্রলোভন দেখিয়ে রোগীর সংখ্যা বাড়াতে থাকে। স্থানীয়রা নিউ পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটির বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও কলিকাতার এমবিবিএস ডিগ্রী ব্যবহার করে ডাঃ মতিলাল চন্দ্র দাস, ডাঃ নুরে আলমসহ বেশ কয়েকজন ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার, অনভিজ্ঞ ল্যান ইনচার্জ দিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে উপজেলার গুনবতীতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযান চলাকালীন সময়ে এবং অভিযানের পরে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটি স্থায়ীভাবে বন্ধে এবং আটককৃত ডাক্তারের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে সচেতন এলাকাবাসী।
নিউ পপুলার ডায়াগনষ্টিকের ম্যানাজার জাহিদুল ইসলাম জানান, ডাঃ সঞ্জয় রেজিঃ নাম্বারটি তাহার বলে আমাদের জানায়। আমরা সে অনুযায়ী প্যাড এবং প্রচারপত্র বিলি করি। রেজিঃ নাম্বারটি চেক করার বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে চুপ থাকে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তমালিকা পাল জানান, সঞ্জয় কান্তি নাথ নামের এক চিকিৎসকের নাম রেজিঃ নাম্বার ব্যবহার করে সঞ্জয় চন্দ্র রায় এমবিবিএস ডাক্তার হিসেবে চিকিসা সেবা প্রদান করে আসছিলেন বিগত ৬-৭ মাস যাবৎ। বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করি।