নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লায় “চৌদ্দগ্রাম মডেল কলেজ” এর শিক্ষক-কর্মচারীদের আনন্দ ভ্রমণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার (১৩ মার্চ) সকালে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মো. এনামুল হক খন্দকারের নেতৃত্বে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয় পর্যটন স্পট শালবন বিহার, ময়নামতি জাদুঘর, বৌদ্ধ মন্দির ও কুমিল্লা ম্যাজিক প্যারাডাইজে আনন্দঘন পরিবেশে আনন্দ ভ্রমণ করেন।
চৌদ্দগ্রাম থেকে সকাল নয়টায় গাড়ী ছেড়ে দিয়ে ঠিক দশটায় শালবন বিহারে পৌঁছে শালবন পার্ক ভ্রমন, সম্মিলিতভাবে পায়ে হেঁটে রাঙা ইটের তৈরি প্রাচীন প্রাচীরের মিতালি দর্শন, ঋতুভিত্তিক নানা প্রজাতির ফুলের সমাহার আর সুনিবিড় সবুজ অরণ্যের ফাঁকে ফাঁকে রোদের খেলা পর্যবেক্ষন করেন ভ্রমণ দলটি।
তারপর “ময়নামতি জাদুঘর” পরিদর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক বাহক বিভিন্ন পুরনোকীর্তি ঘুরে ঘুরে দেখা সহ অষ্টম শতকে নির্মিত এই প্রত্নসম্পদের অপরূপ সৌন্দর্যের ঐতিহাসিক নিদর্শন ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। এসময় জাদুঘরের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের উপর দেয়াল লিখাও পরিদর্শন করা হয়। যে দেয়ালে স্থান পেয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জীবনী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অবদানের বীরত্ব গাঁথা ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন ছবি সংবলিত লেখা।
তারপরে দেখা হয় বৌদ্ধ বিহার। ধারণা করা হয় যে খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এ বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেন।
শেষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে চলে যায় সবাই। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন গুলো। প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়লো প্রশাসনিক ভবন। এরপর একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ/ফ্যাকাল্টি ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সহ দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শন করা হয়। প্রতিটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখার ফাঁকে ফাঁকেই চলে সেলফি পর্ব ও ফটোশেসন। এরই ফাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে ফালুদা, পায়েস, নাড়ু, লাচ্ছি খাওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যান্টিনে।
পরে জুমার নামাজ আদায় করা হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। নামাজ শেষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে সবাই চলে যায় ভ্রমনের প্রধান আকর্ষণ ও মূলকেন্দ্রবিন্দু ম্যাজিক প্যারাডাইজে। এন্ট্রি ফি দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ম্যাজিক প্যারাডাইজের রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেয়ে নেয় সকলে। বেলা তিনটার পর সকলে ম্যাজিক প্যারাডাইজের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। এসময় ফটোসুট করে আনন্দঘন মুহূর্তের স্মৃতি গুলোকে ক্যামরা বন্দি করে নেয় ভ্রমণ পিপাসুরা।
পরে ম্যাজিক প্যারাডাইজের সকল প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সৌন্দর্য্য অবলোকন শেষে ফিরতি যাত্রা শুরু করে মডেল কলেজের ভ্রমণ দলটি। এভাবেই আনন্দমূখর একটি ব্যতিক্রমী দিন অতিবাহিত করে চৌদ্দগ্রাম মডেল কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। ঠিক সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম এসে পৌঁছার মাধ্যমে ভ্রমণ সমাপ্ত হয়।