কুমিল্লায় রাশেদ হোসেন (১৫) নামে এক ফ্যাক্টরির শ্রমিককে গলা কেটে হত্যার ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারা হলেন, একই ফ্যাক্টরির সহকর্মী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মানিকপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রাসেল (১৮) ও বানীপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে আরিফ (১৭)। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানিয়েছে, এক মেয়ের সঙ্গে দুই ছেলের প্রেম করা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাশেদ হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, নগরীর গোবিন্দপুর এলাকার মৃত আবদুর রশিদের ছেলে রাশেদ হোসেন সদর দক্ষিণ উপজেলার ফরিদ গ্রুপের ফরিদ নেটস নামে একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। রবিবার বিকেলে ফ্যাক্টরি থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরেনি রাশেদ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর দক্ষিণের ফুলতলী এলাকা থেকে রাশেদের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় তার বোন নিপা আক্তার বাদী হয়ে সদর অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুপার নুরুল ইসলাম আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে এক মেয়ের সঙ্গে রাশেদ হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই মেয়েকে রাসেলও ভালোবাসতো। তাই প্রেমিকার জীবন থেকে রাশেদকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাসেল ও তার বন্ধু আরিফ রবিবার বিকেলে ফ্যাক্টরি থেকে কৌশলে রাশেদকে ডেকে নিয়ে যায়। ওই দিন রাতে রাশেদকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন, আজিম উল আহসান, নাজমুল আহসান রাফি, ডিআইও-১ মাহবুব মোরশেদ, সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর-রশিদ প্রমুখ।