কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে প্রেমিক-প্রেমিকা চুরিকাঘা করে শামীম হোসেন সুমন (২৫) নামে এক যুবককে খুন করা হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পৌলোইয়া এলাকায় হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক মিজানুর রহমান (২৮) ও প্রেমিকা চুমকী আক্তারকে (১৫) গ্রেফতার করেছে লাকসাম থানা পুলিশ।
নিহত শামীম হোসেন সুমন মনোহরগঞ্জ উপজেলার উওর হাওলা ইউনিয়নের হাতিমারা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘাতক মিজানুর রহমানের বাড়ি লাকসাম উপজেলায়। সে বিয়ে করে হাতিমারা গ্রামে। বিয়ের সুবাদে সে শ্বশুর বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। সেখানে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে চুমকী আক্তার নামে এক তরুনির। চুমকির বাড়ি সিলেটের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল জেলায়। সে হাতিমারা গ্রামে তার নানার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতো। মিজান সম্পর্কে চুমকীর খালু হন। এরই মধ্যে মিজান তার বউকে রেখে প্রেমের টানে প্রেমিকা চুমকীকে নিয়ে সিলেটে পালিয়ে যায়।
গত কয়েকদিন সিলেট থাকার পর সোমবার (আজ) তারা সিলেট থেকে ট্রেন যোগে লাকসাম জংশন এলাকায় নামে। এইদিকে সুমন এবং তাদের বাড়ির ইমরানসহ আরো কয়েকজন কাজের উদ্দেশ্যে সকালে নোয়াখালী থেকে আসা উপকুল ট্রেনে করে লাকসাম জংশনে নামলে ওই প্রেমিক-প্রেমিকাকে দেখতে পায়।
একপর্যায়ে তারা একটা সিএনজি অটো রিক্সা করে প্রেমিক যুগলকে হাতিমারা গ্রামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথে মিজান ও চুমকী তাদের কাছে থাকা চুরি দিয়ে সুমনকে আঘাত করে। এতে সুমন গুরুতর আহত হলে তাকে অশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মিজান ও চুমকীকে গ্রেফতার করেছে লাকসাম থানা পুলিশ। নিহত সুমনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা গয়েছে।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম নতুন কুমিল্লাকে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে চুরি উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রেমিক-প্রেমিকাকে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।